মেডিকেলে ভর্তি যেন এক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে যদি তুমি জয়ী হতে চাও তাহলে সুপরিকল্পিত একটি পরিকল্পনা নিয়ে তুমার এগোতে হবে। ডাক্তার হওয়ার জন্য লাখ লাখ স্বপ্নবাজ তরুন তরুনিরা এই ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহন করে। তুমি যদি মেডিকেলে চান্স পেতে চাও তাহলে নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে সামনে এগোতে হবে। তাহলে চলো জেনে নেই কিভাবে হতে পারে তুমার মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি।
মেডিকেলে ভর্তির প্রাথমিক প্রস্তুতি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে চান্স পেতে অবশ্যই তুমার মিনিমাম জিপিএ থাকতে হবে। মেডিকেলে আবেদন করতে হলে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি পরিক্ষায় জিপিএ ৪ সহ সর্বমোট জিপিএ ৯ থাকতে হবে। এবং জীববিজ্ঞানে মিনিমাম জিপিএ ৪ থাকতে হবে। এই বিষয়ে জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন…
সিলেবাস জানা: মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় কোন কোন বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে এগুলো জানা খুব জরুরি। তুমি যদি এসব বিষয় না জানো তাহলে কিন্তু ভাল প্রস্তুতি নিতে পারবে না। কোন বিষয় থেকে কত মার্কের প্রশ্ন আসে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখা। মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার ৫টা বিষয়ের উপরে হয়। এগুলো হলো জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজি।
মেডিকেলে ভর্তির বিষয়বৃত্তিক প্রস্তুতি
মেডিকেলে চান্স পেতে হলে অবশ্যই তুমার বিষয়বৃত্তিক আলাদা প্রস্তুতি থাকতে হবে। জীববিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজির পাশাপাশি সাধারন জ্ঞানেও আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। তাই সবগুলো বিষয়কে প্রতিদিন চার্চায় রাখা জরুরি।
মেডিকেলে ভর্তির বিশেষ প্রস্তুতি
প্রশ্নব্যাংক সমাধান: মেডিকেলে ভর্তি প্রস্তুতিরর জন্য বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান করাটা খুব জরুরি। কোন শিক্ষার্থী যদি বিগত ১০ বছরের মেডিকেল প্রশ্ন সমাধান করতে পারে তাহলে তার ৬০ থেকে ৭০% প্রস্তুতি হয়ে যাবে। বিগত সালের প্রশ্ন যদি তুমি নিজে খুজে খুজে বের করতে চাও তাহলে তুমার অনেক সময় লাগতে পারে। তাই তুমি চাইলে বাজার থেকে কোন মেডিকেল প্রশ্নব্যাংক কিনে পড়তে পার। তাহলে সবগুলো প্রশ্ন তুমি একসাথে পেয়ে যাবে। রকমারি.কম থেকে তুমি চাইলে বিভিন্ন লেখকের প্রশ্নব্যাংক কিনতে পারবা।
সাম্প্রতিক GK : মেডিকেলে যেহেতু সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন আসে তাই সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া ঘটনার উপর নজন রাখতে হবে। তুমি চাইলে প্রতিদিন পত্রিকা পড়তে পারো অথবা মাস শেষে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স কিনে পড়তে পারো।
আপডেট তথ্য: তুমরা যে বইটা পড়ছো যে বইয়ের যদি নতুন কোন সংস্করন বাজারে আসে তাহলে তুমি নতুন সংস্করনে নতুন কি সংযুক্ত হয়েছে যেটা পড়ে ফেলবা। তাহলে নতুন বিষয় থেকে যদি কোন প্রশ্ন আসে তাহলে তুমি সহজে উত্তর দিতে পারবা।
সকল লেখকের বই পড়া: তুমি হয়তা এক বা দুইজন লেখকের বই পড়ছো । কিন্তু এই বিষয়ের উপর অনেক লেখকের বই আছে। যদি সকল লেখকের বইয়ের যে অনুশীলনীর প্রশ্ন আছে এগুলো পড়ে শেষ করে ফেলবা। তুমার মনে এখন একটা প্রশ্ন আসতে পারে আমি সব লেখকের বই পড়ার সময় কোথয় পাব? তুমি সকল লেখকের অনুশীলনী সম্বলিত বই বাজারে পেয়ে যাবা। এই বইগুলো থেকে পরবা।
নিয়মিত চার্চ করা: ধরো তুমি সব পারো তাও নিয়মিত চর্চা করবা। কারন মেডিকেলে ৬০ মিনিটে ১০০ টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এই সময়ের ভিতরে তুমার রোল রেজি ফিলাপ করতে হবে। তুমি একটা প্রশ্নের উত্তর করতে মাত্র ৩৫ থেকে ৩৭ সেকেন্ড সময় পাবা। যদি তুমি নিয়মিত চর্চা না করো তাহলে তুমি এই প্র্যাক্সিসটা করতে পারবা না।
বেশী বেশী পরিক্ষা দেওয়া: তুমি যত বেশী পরিক্ষা দিবা তত বেশী নিজের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে পারবা। এবং সঠিক সময়ে পরিক্ষা শেষ করার একটা অভ্যাস গড়ে উঠবে।
মেডিকেলের প্রস্তুতির জন্য কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হব?
মেডিকেলের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে অনেক ভাল ভাল কোচিং সেন্টার আছে। তার মধ্য উন্মেষ, রেটিনা এবং মেডিকো অন্যতম। তুমি যদি এসব কোচিং এ ভর্তি হও তাহলে প্রয়োজনিয় সকল ক্লাস পরিক্ষা এবং বই তারা দিবে। এবং তুমি সুন্দর একটা গাইডলাইন পাবা।
প্রস্তুতি হচ্ছে নিজের কাছে। মেডিকেলে অনেকজনকে হারিয়ে তুমার জিততে হবে। তাই ভাল করে প্রস্তুতি নেও। যদি তুমার কোন মন্তব্য থাকে হলে কমেন্ট করো। মেডিকেলের পাশাপাশি যারা ভার্সিটির ভর্তি তথ্য সম্পর্কে জানতে চাও তারা ক্লিক করো।
মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি নিয়ে জনপ্রিয় প্রশ্ন
thanks for this artical
আপনাদের এই সাজেশনের জন্য অনেক স্টুডেন্ট উপকৃত হবে।আমি একজন বাণিজ্য বিভাগের স্টুডেন্ট। তারপরও জেনে রাখার জন্য আপনাদের বিস্তারিত সাজেশন পড়লাম খুব ভালো লাগেছে অনেক সুন্দর করে কথাগুলো বোঝাই বলা হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বিস্তারিত জানানোর জন্য।
ধন্যবাদ আপনার দেওয়া গাইডলাইনের জন্য। আমার একটা প্রশ্ন আছে তা হলো মেডিকেলে আবেদন করে ফেলার পর কি কোনো ভাবে চয়েস লিস্ট পরিবর্তন করা যায়?…